রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হিসেবে এমপির ভূমিকা: একটি পর্যালোচনা

ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে থাকার সময় আমি একটি ওয়ার্কিং পেপার লিখি যেখানে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারে এমপির উপদেষ্টা ভূমিকা মূল্যায়ন সম্পর্কিত একটি অধ্যায় ছিল। সেই অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশের জন্য একটি ছোট লেখা লিখেছি।

তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া কেবল গণতন্ত্রের সম্প্রসারণই নয় বরং এর সৌন্দর্যকেও বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণের ধারণা থেকে স্থানীয় সরকারের ধারণাটি এসেছে। জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে সরকারের সেবা তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উদ্ভব। আর এ জন্যই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গণতন্ত্রের উর্বর ভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র তখনই পূর্ণতা লাভ করে যখন সর্বাধিক সংখ্যক প্রান্তিক ব্যক্তিসহ সব জনগণ গভর্ন্যান্স প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা থাকে এবং জবাব পেতে পারে। বর্তমান বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং জবাবদিহিতার একটি আদর্শ মডেল হিসেবে আরও বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌঁছাতে পারে এবং তাদের চাহিদাগুলো শনাক্ত করতে পারে। আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা আমলাতন্ত্র, স্থানীয় সরকার পরিষদ ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে কতটা সহযোগিতার পাচ্ছেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

স্থানীয় সরকার পরিষদ ও সাধারণ মানুষের মাঝে দূরত্ব কতটা বিদ্যমান এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ, এসবও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ১৯৭০-৮০-র দশক-পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় এবং উন্নয়ন কাঠামোয় যেভাবে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সে তুলনায় বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোয় ততটা পরিবর্তন আনয়ন করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০০৮ সালের মে মাসের জারিকৃত অধ্যাদেশ অনুসারে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নিুলিখিত স্তরগুলো বিদ্যমান: গ্রামাঞ্চল (ক) ইউনিয়ন পরিষদ (খ) উপজেলা পরিষদ (গ) জেলা পরিষদ; শহরাঞ্চল (ক) পৌরসভা ও (খ) সিটি করপোরেশন। তবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ স্তর হল উপজেলা পরিষদ। কারণ সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে উপজেলা পরিষদ কাজ করে থাকে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের গোটা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আর এর অন্যতম প্রধান শর্ত হল স্থানীয় সরকার পরিষদকে স্বাধীনভাবে কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া।

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯-এর ২৫ অনুচ্ছেদের বলা আছে, ১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর অধীন একক আঞ্চলিক এলাকা হইতে নির্বাচিত সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য পরিষদের উপদেষ্টা হবেন এবং পরিষদ উপদেষ্টার পরামর্শ গ্রহণ করবে। ২. সরকারের সহিত কোনো বিষয়ে পরিষদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে পরিষদকে উক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত রাখতে হবে।

আবার উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯-এর ৪২(৩) অনুচ্ছেদে ‘পরিষদ স্থানীয় সংসদ সদস্যর সঙ্গে স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা করার অনুমতি দেয়।’ এসব আইন অনুযায়ী, উপদেষ্টা হিসেবে একজন সংসদ সদস্যের উচিত স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। সর্বোপরি, স্থানীয় সরকার পরিষদকে বিভিন্ন পরামর্শদানের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপ এবং সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা।

উপজেলা পরিষদ ২০০৯ আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যের ভূমিকা বিরোধপূর্ণ নয় বরং সংসদ সদস্য তার নিজ এলাকার স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় উন্নয়নের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কী লক্ষ করা যায়? স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডে যাতে গতিশীলতা বজায় থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য যথাযথ সহযোগিতা করবেন- এটাই কাম্য।

উপদেশ দেয়ার মাধ্যমে কোনো সংসদ সদস্যের কোনো কিছুতে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো কারণে দূরত্ব সৃষ্টি হলে এর ফলে নানা রকম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে যার কারণে উপজেলা সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, স্কুল-কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটি, সরকারি টিউবওয়েল, কাবিখা, ভিজিডি ও ভিজিএফ এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য কতটা হস্তক্ষেপ করেন এটাও বিভিন্ন আলোচনায় আসে। বস্তুত সংসদ সদস্যদের পরামর্শ ও আদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এ জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের বিরোধপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এতে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের শাস্তিপূর্ণ সম্পর্ক যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান- তারা একই ভোটারের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কোনো সংসদ সদস্য অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ করলে সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং গণতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার প্রকৃত সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে জবাবদিহিতার আদর্শ মডেল প্রতিষ্ঠিত করতে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যরা সব ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ করবেন- এটাই প্রত্যাশিত।

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় সরকার যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল স্থানীয় সরকারের কমিটিগুলোকে যথাযথভাবে কার্যকর করা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে একই সুতোয় গাঁথতে স্থানীয় সরকার পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

যদিও বিকেন্দ্রীকরণ গ্রামীণ বাংলাদেশে জনসমর্থক উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক, তবুও এমপি এবং মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও বিশ্বস্ত করা উচিত। সংসদ সদস্যদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তারা তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাধারণ স্বার্থের কথা চিন্তা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই নির্বাচিত হন। তারা জনগণকে শাসন করার জন্য নির্বাচিত হন না, এবং এটি তাদের কাজের অংশও নয়।

এসডিজির অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং তদনুসারে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার ক্ষমতা, অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া এবং সরকার ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে নিয়মিত আর্থিক আলোচনার সঙ্গে একটি সুস্পষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভাবনী এবং সামগ্রিক কৌশলগুলিকে গ্রামীণ অর্থনীতি সম্প্রসারণের জন্য উত্সাহিত করতে হবে এবং দরিদ্রদের জন্য আয়-উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ প্রদানের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে এমপিকে তার নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় সরকার সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।

মোটকথা, স্থানীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং স্থানীয় জনগণকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের অংশীদাররূপে ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, শুধু স্থানীয় উন্নয়নই দেশের সার্বিক উন্নয়ন বয়ে আনতে পারে। আশা করা যায়, গত সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেসব বাস্তবায়নে তারা অধিকতর যত্নশীল হবেন।

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

ইমেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad
Header Ad

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে নাম লেখান শবনম বুবলী। একজন সংবাদ পাঠিকা থেকে হয়ে যান চিত্রনায়িকা।

সিনে ক্যারিয়ারের ৯ বছরের মাথায় নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। বুবলী নাম লেখালেন প্রযোজনায়। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জানা গেছে, বুবলীর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম বিগ প্রোডাকশন। এর ব্যানারে তৈরি হবে সিনেমা, নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য, মিউজিক ভিডিও। কার্যক্রম শুরু হবে নাটক দিয়ে। যেটি নির্মিত হবে আগামী কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। আর সিনেমার ঘোষণা আসবে আগামী বছর।

এ বিষয়ে বুবলী বলেন, প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রোডাকশন হাউসের সিনেমায় অভিনয় করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিগ প্রোডাকশনের ভাবনা। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক মেধাবী ও অভিজ্ঞ মানুষ যুক্ত হচ্ছেন। আমি সব সময় মানসম্পন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। প্রযোজক হিসেবেও চাইব ভালো কাজ উপহার দিতে।

প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন শিল্পীদের নিয়েও বিশেষ ভাবনা আছে বুবলীর। তিনি বলেন, আমি চাই সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে প্রতিষ্ঠিত কলাকুশলীদের পাশাপাশি নতুনরাও থাকবেন। অনেকে হয়তো ভালো কাজ করেন, কিন্তু নতুন হওয়ার কারণে বড় কোনো কাজে সুযোগ পাচ্ছেন না। সেই শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা।

বিগ প্রোডাকশনের পরিকল্পনা জানিয়ে বুবলী বলেন, আমি সিনেমার মানুষ, তাই সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর জন্য আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তাই চলতি বছর নাটক, শর্টফিল্ম, মিউজিক ভিডিও বানিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। যাত্রাটা শুরু হবে কোরবানি ঈদের নাটক নিয়ে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কাজ আসতে থাকবে। বিগ প্রোডাকশন থেকে সিনেমা নির্মাণ হবে আগামী বছর। সে সময় বড় আয়োজন করে ঘোষণা দেওয়া হবে।

এদিকে, অভিনয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন বুবলী। আসছে রোজার ঈদে একাধিক সিনেমায় তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই ‘পিনিক’ ও ‘জংলি’ সিনেমা দুটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টা সাথে দেখা করতে

চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  

ছবিঃ সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলামের অপসারণ ও নতুন নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে এই সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে।

সকাল ৮টায় কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাসে করে ৮০ শিক্ষার্থী ঢাকার পথে রওনা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল।

ঢাকার পথে রওনার আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীন। এজন্য আমরা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করব। এরপর নিরাপদ জায়গায় চলে যাব। সেখান থেকেই অনলাইনে আমাদের কার্যক্রম চলবে। যতদিন দাবি পূরণ না হচ্ছে, ততদিন ক্যাম্পাসে ফিরব না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই মুহূর্তে ক্যাম্পাস ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সাহস করে যেতে পারছি না । তাই নিজেদের অর্থায়নে ক্যাম্পাসে বাস ডেকে এনেছি।

'আমরা কুয়েট অথরিটির কাছে বাস সহায়তা চেয়েছিলাম। তারা আমাদের কোনো সহায়তা করেননি। সরকার যেহেতু আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আমরা চোখে লাল কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাস টোটালি শাটডাউন করে চলে যাচ্ছি। আমাদের দাবি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে কোন রকমের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ চলবে না, বলেন তারা।

তারা আরও বলেন, 'ঘটনার পাঁচ দিন পরেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস আসেনি। আমাদের নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর চাপাতি, রামদা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, যা জুলাই বিপ্লবের পর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন হামলা করতে কেউ সাহস করেনি । অথচ এই হামলায় আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথা ফেটে গেছে ,হাত তিন টুকরো হয়ে গেছে।

যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই বিপ্লবের ওপর দাঁড়িয়েছে সেই সরকার আমাদের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও যোগাযোগ করেনি । সেই সরকারকে আমাদের রক্তের দায় নিতে হবে। ইমেইলের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠানোর তিন দিন পার হয়েছে, কিন্তু সরকারের থেকে কোনো সাড়া পাইনি। এই ক্যাম্পাস আমাদের জন্য সেফ না। যেখানে হামলার পর সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেখানে কুয়েটের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কেউ নেই। আমাদের নিরাপত্তা এখন আমরাই দিয়ে যাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যেসব শিক্ষার্থী থাকে, তাদের বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। তারা অনেক জায়গা থেকে হুমকি পাচ্ছেন। আমরা সবাই আতঙ্কিত, আমাদের পরিবার আতঙ্কিত। আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে বাইরে সেইফ না । আমরা অভিভাবকহীন। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ নেই।

তারা বলেন, ভিসিসহ কিছু শিক্ষক বলার চেষ্টা করছেন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য। হামলাকারীরা স্পষ্ট এবং চিহ্নিত কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রক্তাক্ত কুয়েট প্রদর্শনীতে অস্ত্রধারীদের নাম পরিচয়, ছবি বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুয়েটে ছাত্রদল সমর্থক ও বিএনপির লোকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে কুয়েট প্রশাসনেরই সমস্যা রয়েছে।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার কাছে ই-মেইলে চিঠি পাঠান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তা স্বত্বেও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে রাজনীতি শুরু করতে চাইলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয়। এসময় কুয়েট ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ মিছিলে এসে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। এতে কুয়েট ছাত্রদল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় কুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং চার ঘণ্টা যাবত এই হামলা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এই মর্মে আমরা ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করি।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  

ছবিঃ সংগৃহীত

নাটোরে বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে উচ্চ শব্দে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাসরঘরে ঢুকে বরকে মারধর ও বাসরঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বরের মা, নানীসহ আরও তিনজন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাগাতিপাড়ার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু।

এ ঘটনায় শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ওই গ্রামের মিন্টু আলী শাহের ছেলে আরাফাত শাহের (২১) সঙ্গে নাটোরের লালপুরের ওয়ালিয়া ছোটময়না এলাকার আব্দুল মজিদের মেয়ের বিয়ে হয়।

বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে দুইদিন ধরে বাড়িতে সাউন্ড বক্সে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে উদ্‌যাপন করেন আগত অতিথিরা।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল আওয়াল শাহ অভিযোগ করলে বরের বাবা মিন্টু বক্সের সাউন্ড কমিয়ে দেন।

পরে শুক্রবার রাতে ফের উচ্চশব্দে গান বাজালে আব্দুল আওয়াল শাহ ও তার ছেলেসহ স্থানীয় কয়েকজন এসে বর, তার মা, নানীসহ চারজনকে মারপিট করে। এসময় তারা বাসর ঘরটিও ভাঙচুর করেন।

মিন্টু আলী শাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে আব্দুল আওয়াল শাহ তার ছেলেসহ স্থানীয় তিনজন আমার ছেলেকে বাসর ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে মারপিট করেন।

এরপর তারা বাসর ঘরে ঢুকে বাড়িতে আগত অতিথিদের বলে- তোরা এখন গান বাজা, আমরা বাসর করবো।’ এরপর ঘরে থাকা খাটসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আওয়াল শাহ বলেন, কয়েকদিন ধরে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে এলাকার কাউকে ঘুমাতে দিচ্ছে না বিয়ে বাড়ির লোকজন। আমরা তাদের গান বাজাতে মানা করেছি, কাউকে কোনো মারপিট করা হয়নি।

এ বিষয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় গ্রাম্যভাবে বসা হয়েছে, বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটছে।

তবে তিনি বলেন, ভাঙচুর করেনি, এগুলো মিথ্যা। এখন সেই সালিশে আছি, পরে কথা বলি।

তাহলে সালিশ করছেন কী নিয়ে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওইযে মারামারি করিছিল, তখন হয়তোবা ইয়া হইছে…। ওরা নিজেরাই হয়তো ভাঙচুর করি এখন ঝামেলা করতিছে।

এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ে বাড়িতে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা হয়েছিল। বাসরঘরের ফুলটুল টান দিয়ে ছিঁড়ছে, অন্য কিছু না। গান বাজাচ্ছিল এ নিয়ে, রাগের মাথায় দুই একটু হয় না!

চারজন আহত হয়েছে জানেন কিনা জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাসরঘর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমি থানায় পাইনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)