বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হিসেবে এমপির ভূমিকা: একটি পর্যালোচনা

ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে থাকার সময় আমি একটি ওয়ার্কিং পেপার লিখি যেখানে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারে এমপির উপদেষ্টা ভূমিকা মূল্যায়ন সম্পর্কিত একটি অধ্যায় ছিল। সেই অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশের জন্য একটি ছোট লেখা লিখেছি।

তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া কেবল গণতন্ত্রের সম্প্রসারণই নয় বরং এর সৌন্দর্যকেও বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণের ধারণা থেকে স্থানীয় সরকারের ধারণাটি এসেছে। জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে সরকারের সেবা তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উদ্ভব। আর এ জন্যই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গণতন্ত্রের উর্বর ভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র তখনই পূর্ণতা লাভ করে যখন সর্বাধিক সংখ্যক প্রান্তিক ব্যক্তিসহ সব জনগণ গভর্ন্যান্স প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা থাকে এবং জবাব পেতে পারে। বর্তমান বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং জবাবদিহিতার একটি আদর্শ মডেল হিসেবে আরও বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌঁছাতে পারে এবং তাদের চাহিদাগুলো শনাক্ত করতে পারে। আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা আমলাতন্ত্র, স্থানীয় সরকার পরিষদ ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে কতটা সহযোগিতার পাচ্ছেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

স্থানীয় সরকার পরিষদ ও সাধারণ মানুষের মাঝে দূরত্ব কতটা বিদ্যমান এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ, এসবও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ১৯৭০-৮০-র দশক-পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় এবং উন্নয়ন কাঠামোয় যেভাবে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সে তুলনায় বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোয় ততটা পরিবর্তন আনয়ন করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০০৮ সালের মে মাসের জারিকৃত অধ্যাদেশ অনুসারে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নিুলিখিত স্তরগুলো বিদ্যমান: গ্রামাঞ্চল (ক) ইউনিয়ন পরিষদ (খ) উপজেলা পরিষদ (গ) জেলা পরিষদ; শহরাঞ্চল (ক) পৌরসভা ও (খ) সিটি করপোরেশন। তবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ স্তর হল উপজেলা পরিষদ। কারণ সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে উপজেলা পরিষদ কাজ করে থাকে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের গোটা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আর এর অন্যতম প্রধান শর্ত হল স্থানীয় সরকার পরিষদকে স্বাধীনভাবে কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া।

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯-এর ২৫ অনুচ্ছেদের বলা আছে, ১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর অধীন একক আঞ্চলিক এলাকা হইতে নির্বাচিত সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য পরিষদের উপদেষ্টা হবেন এবং পরিষদ উপদেষ্টার পরামর্শ গ্রহণ করবে। ২. সরকারের সহিত কোনো বিষয়ে পরিষদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে পরিষদকে উক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত রাখতে হবে।

আবার উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯-এর ৪২(৩) অনুচ্ছেদে ‘পরিষদ স্থানীয় সংসদ সদস্যর সঙ্গে স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা করার অনুমতি দেয়।’ এসব আইন অনুযায়ী, উপদেষ্টা হিসেবে একজন সংসদ সদস্যের উচিত স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। সর্বোপরি, স্থানীয় সরকার পরিষদকে বিভিন্ন পরামর্শদানের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপ এবং সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা।

উপজেলা পরিষদ ২০০৯ আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যের ভূমিকা বিরোধপূর্ণ নয় বরং সংসদ সদস্য তার নিজ এলাকার স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় উন্নয়নের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কী লক্ষ করা যায়? স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডে যাতে গতিশীলতা বজায় থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য যথাযথ সহযোগিতা করবেন- এটাই কাম্য।

উপদেশ দেয়ার মাধ্যমে কোনো সংসদ সদস্যের কোনো কিছুতে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো কারণে দূরত্ব সৃষ্টি হলে এর ফলে নানা রকম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে যার কারণে উপজেলা সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, স্কুল-কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটি, সরকারি টিউবওয়েল, কাবিখা, ভিজিডি ও ভিজিএফ এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য কতটা হস্তক্ষেপ করেন এটাও বিভিন্ন আলোচনায় আসে। বস্তুত সংসদ সদস্যদের পরামর্শ ও আদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এ জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের বিরোধপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এতে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের শাস্তিপূর্ণ সম্পর্ক যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান- তারা একই ভোটারের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কোনো সংসদ সদস্য অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ করলে সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং গণতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার প্রকৃত সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে জবাবদিহিতার আদর্শ মডেল প্রতিষ্ঠিত করতে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যরা সব ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ করবেন- এটাই প্রত্যাশিত।

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় সরকার যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল স্থানীয় সরকারের কমিটিগুলোকে যথাযথভাবে কার্যকর করা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে একই সুতোয় গাঁথতে স্থানীয় সরকার পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

যদিও বিকেন্দ্রীকরণ গ্রামীণ বাংলাদেশে জনসমর্থক উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক, তবুও এমপি এবং মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও বিশ্বস্ত করা উচিত। সংসদ সদস্যদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তারা তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাধারণ স্বার্থের কথা চিন্তা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই নির্বাচিত হন। তারা জনগণকে শাসন করার জন্য নির্বাচিত হন না, এবং এটি তাদের কাজের অংশও নয়।

এসডিজির অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং তদনুসারে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার ক্ষমতা, অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া এবং সরকার ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে নিয়মিত আর্থিক আলোচনার সঙ্গে একটি সুস্পষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভাবনী এবং সামগ্রিক কৌশলগুলিকে গ্রামীণ অর্থনীতি সম্প্রসারণের জন্য উত্সাহিত করতে হবে এবং দরিদ্রদের জন্য আয়-উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ প্রদানের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে এমপিকে তার নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় সরকার সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।

মোটকথা, স্থানীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং স্থানীয় জনগণকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের অংশীদাররূপে ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, শুধু স্থানীয় উন্নয়নই দেশের সার্বিক উন্নয়ন বয়ে আনতে পারে। আশা করা যায়, গত সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেসব বাস্তবায়নে তারা অধিকতর যত্নশীল হবেন।

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

ইমেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad
Header Ad

চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস

ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি বছরেই নির্বাচন করাসহ ৭ বিষয়ে ঐকমত পোষন করেছে বিএনপি ও একসময়ের ‘জোটচ্যুত’ দল খেলাফত মজলিস। চলমান রাজনৈতিক অবস্থা আর আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় এই শীর্ষ দুই দল।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রায় দুই ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর দুই দলই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করাসহ সাতটি বিষয়ে একমত হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতির মাঠে চর্চা ইসলামিক দলগুলো নির্বাচনী মোর্চা। তারই প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার বরিশালে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর বৃহত্তর ইসলামী জোট গঠনের আলোচনা আরও জোরদার হয়।

এমন পরিস্থিতিতে ২০ দলীয় জোটের সাবেক জোটসঙ্গী খেলাফত মজলিসের সঙ্গে দীর্ঘ বছর পর গুলশান চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠক শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ এখনো অবশিষ্ট আছে। কোনো ইসলামী জোট নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখছে না তাদের দল।

এসময় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ডক্টর আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, জাতীয় ঐক্যে সুসংহত করতে আন্তঃদলীয় সংলাপ অব্যাহত থাকবে। সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য আছে তাদের।

 

Header Ad
Header Ad

৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

রেস্তোরাঁ, ওষুধ, মোবাইল ফোন সেবা, ইন্টারনেট, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এনবিআরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ওষুধ শিল্পে ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট আগের মতো ২.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মোবাইল সিম/রিম কার্ড ও আইএসপি সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, তিন, চার এবং পাঁচ-তারকা হোটেল ছাড়া অন্যান্য রেস্তোরাঁয় ভ্যাট তুলে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, নিজস্ব ব্র্যান্ডের বাইরে পোশাক বিপণন, এবং নন-এসি হোটেল ও মিষ্টির দোকানে ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

কমানো ভ্যাটের সুবিধা
১. ওষুধের সহজলভ্যতা বাড়ানো।
২. রেস্তোরাঁর খাবার সুলভ রাখা।
৩. ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের গতি ধরে রাখা।
৪. গ্যারেজ ও পোশাক ব্যবসায়ীদের খরচ কমানো।

এর আগে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে ক্ষোভ দেখা দেয়। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ও জাতীয় নাগরিক কমিটি এই ভ্যাট বৃদ্ধির সমালোচনা করেছিল। এনবিআরের সাম্প্রতিক পদক্ষেপটি ব্যবসায়িক খরচ ও ভোক্তাদের ব্যয় কমাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক

ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে আটক হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ আছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

তারেক আলমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আদালতে হাজির করতে যাচ্ছে।

অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচার ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, এমন অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচারের অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ টিমও কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার